মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
মোঃ ইসমাইল হুসাইন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, কালের খবর : সাবেক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা।ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকার হলেন লিলি খাতুন(৪৪)।তিনি একই এলাকার গালিব হোসেনের স্ত্রী।শিক্ষিকা লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে ও সুষ্ঠু বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।এছাড়াও এবিষয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা কুমারখালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে কালোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন,”সন্ত্রাসী লিটন, জনি,আকাশ,আকরাম ও তাঁর দোসররা দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় লিলি ম্যাডামকে লাঞ্চিত করেছে,তাঁর উপর হামলা করেছে। তারা এসব অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে স্কুল প্রাঙ্গণের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের স্কুলের অনেক ছাত্রছাত্রী আতঙ্কিত হয়েছে। একজন ছাত্রী ভয় পেয়ে বেহুশ হয়ে পড়েছিল। যা স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছেআমরা এই হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।”এছাড়াও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক প্লেকার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ নেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন,”লিলি ম্যাডামের ছেলের আবিরের সাথে আমাদের সাবেক ছাত্রী প্রিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।আমরা দুজনকেই বুঝিয়ে আলাদা করে দিয়েছি।এরপরও প্রিয়া আবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। আবির মুঠোফোনে কথা বলতে না চাইলে প্রিয়া আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রিয়ার বাবা লিটন ও ভাই জনি সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্কুলের উপর দিয়ে আবিরকে খুঁজতে খুঁজতে লিলি ম্যাডামের বাড়ির দিকে ধাওয়া করে।এসব দেখে ম্যাডাম খুব আতঙ্কিত হয়ে যায়। তাঁর অনুরোধে সমির উদ্দিন নামে এক শিক্ষক ম্যাডামকে বাড়িতে দিয়ে আসতে যায়। পথিমধ্যে আক্রমণকারী দলের সাথে দেখা হয়।সেখানে তারা সমির স্যার ও লিলি ম্যাডামকে বেফাঁস ভাষায় গালিগালাজ করে এবং অস্ত্র তুলে আঘাত করতে যায়।আমরা আমাদের সহকর্মী লাঞ্ছনার সুষ্ঠু বিচার চাই। ”
এবিষয়ে আবিরের বন্ধু ও ওই স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী রোহান বলেন,”আবিরকে খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা আমার কাছে যায়। গিয়ে আমাকে আবিরের বন্ধু কি-না জিজ্ঞেস করে।আমি আবিরের বন্ধু পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে আমাকে মারধর শুরু করে।একপর্যায়ে ধারালো দাউ দিয়ে আমাকে কোপ দেয়। উপস্থিত লোকজন ঠেকিয়ে দিলেও ডান হাতে কেটে যাওয়ার মতো বড়ো দাগ হয়ে গেছে। আমি এসব সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। ”
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা বলেন,”আমার ছেলে আবির প্রিয়া বিরক্ত করে।এবিষয়ে আমার ছেলে আমাকে জানালে সে কোন দোষ না করলে কোনো সমস্যা নেই বলে জানায়। এরপর প্রিয়া তার এক বান্ধবীর মুঠোফোনের মাধ্যমে আবিরের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে।সে(আ) কথা না বললে মেয়েটা নদীতে লাফ দেয়। তার বাবা তাকে তুলে এনে মারধর করে হাসপাতালে পাঠায়।তারপর মেয়েটার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ছেলেকে খুঁজতে থাকে এবং একপর্যায়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে।”